Paranormal Society BD- হিজড়া জন্মায় কিভাবে?

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন হিজড়া জ্বীন দের সন্তান। জনৈক ব্যক্তি তাকে জিগ্গেস করলো এরকম কিভাবে হতে পারে? তিনি উত্তরে বলেন -আল্লাহ ও তাঁর রাসুল নিষেধ করেছেন যাতে কেউ তার স্ত্রীর সাথে মাসিক চলাকালে সঙম না করে কারন তখন শয়তান আগে থাকে , এবং ঐ শয়তানের দ্বারা ঐ মহিলা গর্ভবতী হয়ে হিজড়া সন্তান প্রসব করে।
জ্বীন জাতির মাঝে নবী রাসূল এসে ছিল কিনা এটা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ। এ ব্যাপারে আল-কোরআনে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন, আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝে নবী রাসূল প্রেরন করেছি তাদের মাঝ থেকে যারা তাদের আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছিল ।  তাহলে এখন জ্বীনদের নবী রাসূল কারা ? আদম (আঃ) এর আগমনের পূর্বে থেকেই জ্বীনরা পৃথিবীতে বসবাস করতো। ঐ সময় তাদের মাঝেও আল্লাহর বিধি বিধান নাযিল হত। তাই জ্বীনদের মাঝে জ্বীনদের কাছ থেকেই নবী রাসূল এসেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত আল-কোরআনের যে বাংলা অনুবাদ ও তাফসীর এক খন্ডে এক সময় বাংলাদেশে দেয়া হয়েছিল বিনামূল্যে এটা হল তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন। আপনি যে কোন মসজিদে বা পাবলিক লাইব্রেরীতে এই অখন্ড তাফসীর গ্রন্থটা পাবেন। তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআনের ৪১৩-৪১৪ নং পৃষ্টায় সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে তা হল ভারত বর্ষের হিন্দুরা বলে তাদের ধর্ম গ্রন্থ বেদের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। বেদে একেশ্বরবাদের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ, মুহাম্মাদ এই শব্দ গুলিও বেদে আছে। হিন্দুরা যাদের পূজা করে এই সব দেবতাদের রয়েছে অনেক গুলি হাত পা, হাতির মত শুড়, অনেক গুলি চোখ। জ্বীন দের পক্ষে এরকম আকৃতি ধারন করা কোন ব্যাপারই না । দূর্গা, কালি, গণেশ এরা হতে পারে জ্বীন । হয়ত জ্বীনদের মাঝে থেকে এসব আকৃতির নবী হিসাবে কেউ এসেছিল । কালের বিবর্তনে মানুষ বা অন্য জ্বীনেরা তাদেরকেই পূজা শুরু করে। ঠিক অনেকটা হযরত ঈসা (আঃ)-এর মত। খ্রিষ্টানরা যেমন ঈসাকে আল্লাহর ছেলে বানিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) জাহেলিয়াতের যুগে আরবরাও বিভিন্ন জ্বীনের মূর্তি বানিয়ে পূজা করত। ইসলাম আসার পর ঐ জ্বীনেরা মুসলমানরা হলেও ঐ কাফেররা কিন্তু তাও ঐ জ্বীনের পূজা করত। জ্বীনরা সাধারন ১৫০০-২০০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। আপনারা যে কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে সূরা আন আমের ১৩০ নং আয়াতের তাফসীর দেখলেই জ্বীনদের নবী রাসূল সম্পর্কে এসব তথ্য খুজে পাবেন। তবে শেষ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসার পর ঐ সব নবী রাসূল বা আগের ধর্ম গ্রন্থের বিধিবিধান রহিত হয়ে গেছে। এখন শুধু ইসলামের কথাই মানতে হবে। সাহাবীরা যখন ইরাক,ইরান,সিরিয়া প্রভৃতি দেশ জয় করতে জিহাদে অংশ গ্রহন করেছিলেন তখন অনেক জ্বীন সাহাবীও ঐ জিহাদে অংশগ্রহন করেছিল। দেখা গেছে যে সাহাবীরা সর্ব সাকুল্যে মাত্র ১০০০০ আর কাফেররা প্রায় ২ লাখের মত। তাও দেখা গেছে ঐ সব জিহাদে কাফের সৈন্যরা দাড়াতেই পারেনি । সেই সময় জ্বীন সাহাবীরা অসাধারন বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল ।
জ্বীনদের প্ররোচনা
নামাযে, ওজুতে ও অন্যান্য কাজের সময় সে সব শয়তান ও জীন আমাদের প্ররোচনা দেয় তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বেচে থাকার উপায় !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন