Online Earn BD

Online earn bd অনলাইন থেকে ইনকাম।
 বর্তমানে এই অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের অবস্থা এবং অর্থনীতি সব দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে ।ফ্রিল্যান্সাররা হয়ে যাচ্ছে কাজিন বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবীরাও কাজ কিছুই করতে পারছে না। ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও গরীব মানুষের অবস্থা এখন খুবই গুরুত্ব কিন্তু যখন এই সমস্যার সমাধান হবে তখন দেখা যাবে ।


বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে ইনকামের প্রতি নজর দিবে কারণ কেউ এখন আর শ্রম দিতে চাইবে না।অনলাইনে ইনকামের অনেকগুলো রাস্তা রয়েছে কিন্তু অনেক রাস্তা কিছুদিনের জন্য আবার অনেক রাস্তা সারা জীবনের জন্য অনেক জায়গায় শুধুমাত্র কাজ করলেই টাকা পাওয়া যায় কাজ করতে থাকা লাগে আবার অনেক জায়গায় শুধু একবার কাজ করে দিলে অটোমেটিক টাকা আসতে থাকে।

 অনেক ধরনের সাইট এখন দেখা যায় যে সাইট গুলোতে শুধু ক্লিক ভিডিও এবং কোন এপ্লিকেশন ইন্সটল করলেই তারা মোটামুটি অংকের একটি টাকা দিয়ে থাকে কিন্তু এটি বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হয় না কারণ এটি মাত্র তাদের একটি মার্কেটিং মার্কেটিং শেষে তারা আবার তাদের মতন চলে যায়।

 কিন্তু যারা শুধু ওই কাজটি শুধু পারতো তারা হয়ে পড়ে সম্বলহীন।

 তো আমাদের উচিত এমন কোনো কাজ শেখা বা করা যে কাজগুলো আমাদের ভবিষ্যতে কেউ সমস্যার মোকাবেলা করতে সাহায্য করে এবং এমন কিছু স্কুলের দরকার যেগুলো আমরা অনেকদূর ভবিষ্যতেও আমরা ব্যবহার করতে পারি।


 তো আমরা স্থায়ীভাবে যেসব সিস্টেমে ইনকাম করতে পারি তার ভিতর রয়েছে ইউটিউব(Youtube) , ব্লগস্পট (Blogspot) ,ওয়াডপ্রেস(Wordpress) , ফ্রিল্যান্সিং আরো রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ওয়েব ডেভলপমেন্ট ওয়েব ডিজাইনিং এনিমেশন অনলাইন মার্কেটিং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট আমরা মোটামুটি একই একই সকল বিষয়ের উপর ধারণা দেব 

Youtube 

প্রথমেই আসি ইউটিউবে ইউটিউবে অনেক ভাবে ইনকাম করা সম্ভব এডসেন্সের মাধ্যমে কোন কোম্পানির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব বর্তমানে সবথেকে বেশি ভিজিট করা একটি ওয়েবসাইট এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ কোটি কোটি ভিডিও পাবলিশ হয়ে থাকে ইউটিউব থেকে বর্তমানে অনেক লো কোটি কোটি টাকাও আয় করে থাকে কিন্তু তা সঠিক অংকটা কেউ কখনো বলে না ।
Blogspot 
তারপর আমরা যাই ব্লগস্পটে। ব্লগস্পট হল ফ্রিতে ব্লক বানানোর একটি সাইট এখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে মানুষ ইনকাম করতে পারে এটারও প্রথমত আয়ের উৎস অ্যাডসেন্স এবং বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং অ্যাফিলিয়েট ওয়ার্ডপ্রেস ও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আমরা নতুন একটি আর্টিকেল পোস্ট করব মন দিয়ে আমাদের আর্টিকেল পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Paranormal Society BD-বগাকাইন হ্রদ/ বগা লেকের রহস্য

বগাকাইন হ্রদ/ বগা লেক
বিভিন্ন লোক কথা রহস্যেঘেরা বগা লেক সম্পর্কে আজকে আমরা পুরোপুরি ধারণা দেব

অবস্থান রুমা উপজেলার পূর্ব দিকে
স্থানাঙ্ক ২২°০২′৩০″ উত্তর ৯২°২৪′১৬″ পশ্চিম
ধরন আবদ্ধ হ্রদ
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ শঙ্খ নদী
অববাহিকার দেশসমূহ বাংলাদেশ
পৃষ্ঠতল অঞ্চল ১৫ একর
গড় গভীরতা ৩৮ মিটার (১২৫ ফুট)
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা ২,৪০০ ফুট
বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১,২৪৬ ফুট (৩৮০ মিটার) (কিওক্রাডাং-এর উচ্চতা ৩,১৭২ ফুট)। ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা হ্রদের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো।
 
 অনেকের ধারণা মতে এই বগালেকে একসময় ড্রাগনের বসবাস ছিল।
 এটা নিয়ে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন ধরনের মতামত এবং কাহিনী রয়েছে কিছু কাহিনী নিচে তুলে ধরা হলো:-

আজ থেকে প্রায় ২,০০০ বছর আগে উৎপত্তি হয় বগা লেকের। এর উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত আছে বেশ কিছু মিথ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত গল্পটি অনেকটা এরকম।

অনেক অনেক দিন আগে বান্দরবানে একটি চোঙাকৃতির পাহাড় ছিল। তখনকার বান্দরবান আর এখনকার বান্দরবানের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক বিদ্যমান। সে সময় বান্দরবান মানেই ছিল দুর্গম পাহাড়ে ঘেরা ঘন অরণ্যের বসতি। সে পাহাড়ের আদিম কোলে বাস করত আদিবাসীর দল। ম্রো, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা সহ আরও বেশ কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের আবাস ছিল সেথায়। হঠাৎ করে সেসব গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে থাকে গবাদিপশু থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাচ্চারাও।

দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে গ্রামপ্রধান, সাধারণ মানুষ সবাই। খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেল, বাচ্চাগুলোর কিংবা গবাদিপশুর সর্বশেষ পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে ঐ চোঙা আকৃতির পাহাড়ে। সবাই ধারণা করতে শুরু করলো, অতিপ্রাকৃত কিছু একটি বাসা বেঁধেছে রহস্যময় ঐ পাহাড়ের কোলে, তারই আক্রমণের শিকার হচ্ছে নিরীহ এই প্রাণী আর বাচ্চারা। আসল রহস্য উদঘাটন করতে এগিয়ে আসে গ্রামের একদল সাহসী পুরুষ। তারা চোঙা আকৃতির পাহাড়ের মাথায় উঠে দেখে, সেখানে বসে আছে বিশাল এক ড্রাগন। তাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না এই ড্রাগনের খপ্পরেই পড়েছে এতোগুলো প্রাণী!
ড্রাগনের উপস্থিতি নিয়ে অবশ্য ভিন্ন একটি মত প্রচলিত আছে। সেই মতানুসারে, বর্তমানে যেখানে বগা লেক অবস্থিত, সেখানে একদিন আকাশ থেকে নেমে আসে আজব এক প্রাণী। এমন কোনো প্রাণী যে পৃথিবীতে থাকতে পারে, স্থানীয়রা তা কল্পনাও করতে পারেনি। বিশাল পাখাওয়ালা সেই প্রাণী যখন-তখন আগুনের হলকা বের করে ধ্বংস করে দিতে থাকে তাদের ঘরবাড়ি। প্রচণ্ড ঘাবড়ে যায় তারা। কী করে এই উদ্ভট জীবটিকে খুশি করা যাবে, সে উপায় খুঁজতে থাকে গ্রামবাসী। ইতোমধ্যে ড্রাগনটি চোঙা আকৃতির ঐ গুহায় নিজের আস্তানা বানিয়ে নেয়। এলাকার লোকজন তার নাম দেয় ‘বগা’। বগাকে খুশি করতে নিয়মিত বিভিন্ন জীবজন্তু ধরে নিয়ে উপঢৌকন হিসেবে পরিবেশন করতে থাকে তারা। বেশ নিরুপদ্রবভাবেই দিন কাটতে থাকে সবার।


এমনই কোনো এক আগুনের হলকায় হয়তো সৃষ্টি হয় বগা 

এর মধ্যে হঠাৎ করে গ্রামের শিশুরা নিখোঁজ হতে থাকে একের পর এক। শুরুতে এক সম্প্রদায়ের মানুষ অন্য সম্প্রদায়কে দোষারোপ করলেও কিছুদিনের মধ্যেই তারা টের পায়, এটি কোনো নির্দিষ্ট গোত্রের সাথে নয়, বরং সবার সাথেই ঘটছে। এবার সবার সন্দেহের তীর এসে পড়ে বগার দিকে। বগাকে উৎখাত করতে না পারলে বাঁচানো যাবে না শিশুদের, এটুকু বুঝতে কারো বাকি থাকে না। কাজেই প্রতিটি গোত্র থেকে বেছে বেছে সাহসী জওয়ানদের নিয়ে গঠন করা হলো একটা দল। যুদ্ধ করেই হোক আর নিজের জীবন বাজি ধরে ড্রাগনের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েই হোক- শিশুদের তারা উদ্ধার করে আনবেই এই ব্রত নিয়ে বেরিয়ে গেল যোদ্ধারা।

তীর, ধনুক, বল্লম, লাঠি আর মশাল হাতে নিয়ে রাতের অন্ধকারে তারা হানা দিল বগার গুহায়। গুহার মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মানুষের রক্ত আর হাড়গোড় দেখে তারা বুঝে নিল কী ঘটেছে এখানে। ক্ষেপে গিয়ে একসঙ্গে ঘুমন্ত বগার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল যুবকরা। কোনো জাদুবিদ্যা দেখানো বা আগুনের ফোয়ারা ছোটানোর আগেই বগাকে কুপোকাত করে ফেললো সবাই মিলে। এতজন যোদ্ধার সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে কোনোমতে গা ঝাড়া দিয়ে পালানোর রাস্তা খুঁজতে লাগলো সে। যে রথে করে একদিন তার উদয় হয় বগা লেকের পাড়ে, সেই রথে উঠে পালানোর চেষ্টা করল বগা। কিন্তু গ্রামের ক্ষিপ্ত যুবকরা বগার রথে আগুন ধরিয়ে দিল।

যোদ্ধাদের ধরিয়ে দেয়া সে আগুনে পুড়ে মরল বগা। তবে তার আগে শেষবারের মতো মুখ থেকে জগজআগুনের ফোয়ারা ছুটাল সে। সেই আগুনের তাপে আর প্রচণ্ড বিস্ফোরণে থর থর করে কেঁপে উঠল চোঙা আকৃতির পাহাড় আর বগার তৈরি করা গুহা। ভেঙে পড়তে শুরু করলো পাহাড়, তৈরি হলো বিশাল এক গর্ত। এই গর্তটিই বর্তমানে বগা লেক হিসেবে পরিচিত, যার অপর নাম ড্রাগন হ্রদ।


কে বলবে শান্ত এই নিরিবিলি হ্রদে এক সময় ড্রাগন ছিল? 

এ ব্যাপারে তৃতীয় যে মতটি প্রচলিত রয়েছে, তা অনেকটা এরকম।

আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে বান্দরবান অঞ্চলে বসবাস করতো খুমী নামক আদিবাসী একটি গোত্র। অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠীর মতো তাদেরও নিজস্ব কিছু প্রাচীন দেবতা ছিল। আঞ্চলিক উপকথা অনুযায়ী, এই দেবতাদের মধ্যে একজন স্থানীয়দের উপর রেগে গিয়ে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে তিনি একটি ড্রাগনের রূপ ধারণ করেন এবং পূজারীদের ধরে ধরে খাওয়া শুরু করেন। ড্রাগনরূপী সে দেবতা এক পর্যায়ে খুব জোরে হুংকার ছাড়েন, আর তার ফলে একটি অবিশ্বাস্য ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। এই ভূমিকম্পের কারণেই যেখানে গরীব গ্রামবাসীরা বসবাস করত, সেখানে তৈরি হয় একটি হ্রদ। এই হ্রদটিই যে বগা লেক, তা বলাই বাহুল্য! অচিরেই বৃষ্টির পানিতে ভরে ওঠে গর্তটি। এরপর থেকে বাইরের কোনো সাহায্য পাওয়া না গেলেও, এই লেকের পানি কখনো শুকায়নি। প্রতি বসন্তে হ্রদের স্বচ্ছ পানি ঘোলা হয়ে যায় আর রঙ পরিবর্তন করতে থাকে। এই ঘটনা আদিবাসীদের বিশ্বাসকে আরো বদ্ধমূল করে তোলে আর তার সাথে সাথে আরো নানা ধরনের উপকথার জন্ম দেয়।

উৎপত্তিগত দিক থেকে, বগা শব্দটি নেয়া হয়েছে ‘বাগা’ থেকে। বাগা অর্থ রাগান্বিত ড্রাগন। এবার আসা যাক বগা লেকের উৎপত্তি সম্পর্কে ভূতাত্ত্বিকেরা কী বলছেন, সে প্রসঙ্গে। তাদের মতে, হয় মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ নয়তো মহাশূন্য থেকে উল্কাপিণ্ডের পতনের কারণে সৃষ্টি হয়েছে বগা লেক। এর পানি অম্লধর্মী। কোনো জলজ প্রাণীর পক্ষে এখানে বেঁচে থাকা সম্ভব না। বাইরের কোনো পানি এখানে ঢুকতেও পারে না, আবার এর আশপাশে পানির কোনো দৃশ্যমান উৎসও নেই। কাজেই আশেপাশে পানির কোন উৎস না থাকলেও এই বিশাল জলরাশি কীভাবে সৃষ্টি হলো, তা এক রহস্যই বটে। তবে তারচেয়েও বড় রহস্য হচ্ছে বগা লেকের পানির রঙ পরিবর্তন। প্রতি বছর অদ্ভুত কোনো এক কারণে বগা লেকের পানির রঙ কয়েকবার পাল্টায়।

অলৌকিক সৌন্দর্যের বগা লেক নিয়ে রয়েছে অজস্র রহস্য। এর আশেপাশে কোনো ঝর্ণা না থাকলেও, লেকের মতোই চারপাশের অন্যান্য জলাশয়ের পানির রঙেও দেখা দেয় একই পরিবর্তন। এর বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, লেকটির তলদেশে একটি উষ্ণ ঝর্ণা রয়েছে। ঝর্ণা থেকে যখন পানি বের হয়, তখনই হ্রদের পানির রঙ বদলে যায়। আবার পাহাড়িদের মধ্যে প্রচলিত ড্রাগন বা আগুনের মিথ অনুযায়ী অনেকেই একে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে সন্দেহ করেন। এই মৃত আগ্নেয়গিরির প্রভাবেও লেকের পানির রঙে পরিবর্তন আসতে পারে। ঝর্ণা বা লেক কোনোটার গভীরতাই এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের মতে গভীরতা ২০০-২৫০ ফুট হলেও ইকো মিটারে ১৫১ ফুট পর্যন্ত গভীরতার হদিস পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন দেশ ও জনগোষ্ঠীর ড্রাগনের অস্তিত্ব বিশ্বাস করে থাকে দেশগুলোর ভিতরে রয়েছে চীন জাপান কোরিয়া ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি অনেকে।

 অনেকে মনে করে ড্রাগন প্রাচীনতম দেবতা আবার অনেকে মনে করে ড্রাগন শয়তানের প্রতিরূপ যেহেতু বিজ্ঞান এটি এখনো প্রমাণ করতে পারিনি তো একদিকে চোখ বুজে বিশ্বাস করে আবার ও বিশ্বাস না করাই ভালো কারণ অতীতের অনেক প্রাণীর হদিস আমরা জানি না তবে দুই হাজার বছর আগেও যদি থাকতো হয়তো সেটি বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায় এসেছিল  আর হয়তোবা এটাও হতে পারে যে এখনো ড্রাগন আছে কিন্তু পৃথিবীর কোন এক জায়গায় লুকানো।



Paranormal Society BD- হিজড়া জন্মায় কিভাবে?

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন হিজড়া জ্বীন দের সন্তান। জনৈক ব্যক্তি তাকে জিগ্গেস করলো এরকম কিভাবে হতে পারে? তিনি উত্তরে বলেন -আল্লাহ ও তাঁর রাসুল নিষেধ করেছেন যাতে কেউ তার স্ত্রীর সাথে মাসিক চলাকালে সঙম না করে কারন তখন শয়তান আগে থাকে , এবং ঐ শয়তানের দ্বারা ঐ মহিলা গর্ভবতী হয়ে হিজড়া সন্তান প্রসব করে।
জ্বীন জাতির মাঝে নবী রাসূল এসে ছিল কিনা এটা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ। এ ব্যাপারে আল-কোরআনে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন, আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝে নবী রাসূল প্রেরন করেছি তাদের মাঝ থেকে যারা তাদের আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছিল ।  তাহলে এখন জ্বীনদের নবী রাসূল কারা ? আদম (আঃ) এর আগমনের পূর্বে থেকেই জ্বীনরা পৃথিবীতে বসবাস করতো। ঐ সময় তাদের মাঝেও আল্লাহর বিধি বিধান নাযিল হত। তাই জ্বীনদের মাঝে জ্বীনদের কাছ থেকেই নবী রাসূল এসেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত আল-কোরআনের যে বাংলা অনুবাদ ও তাফসীর এক খন্ডে এক সময় বাংলাদেশে দেয়া হয়েছিল বিনামূল্যে এটা হল তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন। আপনি যে কোন মসজিদে বা পাবলিক লাইব্রেরীতে এই অখন্ড তাফসীর গ্রন্থটা পাবেন। তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআনের ৪১৩-৪১৪ নং পৃষ্টায় সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে তা হল ভারত বর্ষের হিন্দুরা বলে তাদের ধর্ম গ্রন্থ বেদের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। বেদে একেশ্বরবাদের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ, মুহাম্মাদ এই শব্দ গুলিও বেদে আছে। হিন্দুরা যাদের পূজা করে এই সব দেবতাদের রয়েছে অনেক গুলি হাত পা, হাতির মত শুড়, অনেক গুলি চোখ। জ্বীন দের পক্ষে এরকম আকৃতি ধারন করা কোন ব্যাপারই না । দূর্গা, কালি, গণেশ এরা হতে পারে জ্বীন । হয়ত জ্বীনদের মাঝে থেকে এসব আকৃতির নবী হিসাবে কেউ এসেছিল । কালের বিবর্তনে মানুষ বা অন্য জ্বীনেরা তাদেরকেই পূজা শুরু করে। ঠিক অনেকটা হযরত ঈসা (আঃ)-এর মত। খ্রিষ্টানরা যেমন ঈসাকে আল্লাহর ছেলে বানিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) জাহেলিয়াতের যুগে আরবরাও বিভিন্ন জ্বীনের মূর্তি বানিয়ে পূজা করত। ইসলাম আসার পর ঐ জ্বীনেরা মুসলমানরা হলেও ঐ কাফেররা কিন্তু তাও ঐ জ্বীনের পূজা করত। জ্বীনরা সাধারন ১৫০০-২০০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। আপনারা যে কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে সূরা আন আমের ১৩০ নং আয়াতের তাফসীর দেখলেই জ্বীনদের নবী রাসূল সম্পর্কে এসব তথ্য খুজে পাবেন। তবে শেষ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসার পর ঐ সব নবী রাসূল বা আগের ধর্ম গ্রন্থের বিধিবিধান রহিত হয়ে গেছে। এখন শুধু ইসলামের কথাই মানতে হবে। সাহাবীরা যখন ইরাক,ইরান,সিরিয়া প্রভৃতি দেশ জয় করতে জিহাদে অংশ গ্রহন করেছিলেন তখন অনেক জ্বীন সাহাবীও ঐ জিহাদে অংশগ্রহন করেছিল। দেখা গেছে যে সাহাবীরা সর্ব সাকুল্যে মাত্র ১০০০০ আর কাফেররা প্রায় ২ লাখের মত। তাও দেখা গেছে ঐ সব জিহাদে কাফের সৈন্যরা দাড়াতেই পারেনি । সেই সময় জ্বীন সাহাবীরা অসাধারন বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল ।
জ্বীনদের প্ররোচনা
নামাযে, ওজুতে ও অন্যান্য কাজের সময় সে সব শয়তান ও জীন আমাদের প্ররোচনা দেয় তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বেচে থাকার উপায় !

Paranormal Society BD-জ্বীনদের দেখতে না পাওয়ার কারন

এখানে বলে রাখা ভাল অনেক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যেমন অবলোহিত, মাইক্রো ওয়েভ, X-Ray, গামা রশ্মি আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা।
জ্বীন ফেরেশতা হয়ত এমন কোন সূক্ষাতি সুক্ষ তরঙ্গ যাদেরকে কোন যন্ত্রপাতি দ্বারাও দেখা যাবে না।
জ্বীন শব্দের মোটামুটি অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুকায়িত।
শয়তানরাও হল একপ্রকার জ্বীন যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা অভিশপ্ত ইবলিশের বংশধরদের অন্তর্গত।
হাদীস তত্তবীদদের মতে জ্বীনদের কয়েক টি শ্রেণী আছে।
যেমন সাধারন জ্বীন, আমির জ্বীন, ইফরীত্ব জ্বীন...
অার ইফরীত্ব জ্বীন শয়তানের চাইতেও বিপদজনক।
জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে হযরত আদম (আঃ) এর সৃষ্টির ২০০০ বছর পূর্বে।
জ্বীন জাতির আদি পিতা (আবূল জিন্নাত) সামূমকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আগুণের শিখা দ্বারা তৈরী করার পর আল্লাহ সামূমকে বলেন তুমি কিছু কামনা কর। তখন সে বলে আমার কামনা হল আমরা সবাই কে দেখব কিন্তু আমাদের কে কেউ দেখতে পারবে না। আর আমাদের বৃদ্ধরাও যেন যুবক হয় মৃত্যুর পূর্বে।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তায়ালা জ্বীন দের এই দুইটি ইচ্ছাই পূরণ করেন। জ্বিনরা বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর পূর্বে আবার যুবক হয়।
হযরত উমাইয়া বিন মুখ্সী (রা:) বলেছেনঃ
একবার রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) এর উপস্থিতিতে একব্যক্তি খানা খাচ্ছিল।
হুযুর (সঃ) প্রত্যক্ষ করলেন খাওয়ার শুরুতে সে বিসমিল্লাহ্ বলে নি। তো শেষ পর্যন্ত সে সবই খেয়ে ফেলল,কেবলমাত্র একটি লোকমা বাকি ছিল।
সেই শেষ লোকমাটি মুখে তোলার আগে সে বলল: "বিসমিল্লাহি্ আউওয়ালাহু অ আখিরহু"--অর্থঃ ('খাবারের শুরুতে এবং শেষে আল্লাহর নাম নেওয়া হল'।)
তখন নবীজি (সঃ) হেসে ফেললেন এবং বললেন:
শয়তান ওর সাথে খাবারে শরীক ছিল,কিন্তু যখনই ও আল্লাহর নাম নিয়েছে অমনই শয়তান যা কিছু তার পেটে গিয়েছিল সব বমি করে দিয়েছে।।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সামনে একবার এক ব্যাক্তিকে পেশ করা হয়,যার প্রতি যাদুর অভিযোগ ছিল।
হাজ্জাজ তাকে প্রশ্ন করেন- "তুমি কি যাদুকর?"
সে বলে - "না"।
হাজ্জাজ তখন একমুঠো কাঁকর নিয়ে সেগুলো গণনা করেন।
তারপর প্রশ্ন করেন-"আমার হাতে কতসংখ্যক কাঁকর আছে?"
লোকটি বলে -"এত সংখ্যক"
হাজ্জাজ তখন সেগুলো ফেলে দেন।তারপর ফের একমুঠো কাঁকর নেন তারপর সেগুলো না গুনেই জিজ্ঞেস করলেন-"এখন আমার হাতে কয়টা কাঁকর আছে?"
সে বলে- "আমি জানি না"
হাজ্জাজের প্রশ্ন- 'প্রথমবারে তুমি ঠিকঠাক বলে দিলে কিন্তু দ্বিতীয়বার পারলে না কেন?'
লোকটির উত্তর- 'প্রথমবার আপনি জেনে ছিলেন এর দ্বারা আপনার অসওয়াসাও জেনেছে। তারপর আপনার অসওয়াসা আমার অসওয়াসাকে জানিয়ে দিয়েছে কিন্তু এবারে আপনি জানেননি তাই আপনার অসওয়াসাও জানতে পারে নি।
ফলে আপনার অসওয়াসা আমার অসওয়াসাকে বলে নি।যার কারনে আমিও জানতে পারি নি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ-
আমি ও জনাব রসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনা শরীফের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় (দেখলাম) একটি লোকের মৃগী হল। আমি তার কাছে গিয়ে তার কানে (কোরআনের আয়াত) তেলওয়াত করলাম ফলে সে সুস্থ হলো।
জনাব রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেন - তুমি ওর কানে কী পড়লে? আমি বললাম- "আফা হাসিবতুম আন্নামা খালাকনাকুম আবাসাউ্ অ আন্নাকুম ইলাইনা লা তুরজাউন" (সূরাহ মুমিনূন,আয়াত- ১১৫) থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত তেলওয়াত করেছি। নবীজী বললেন-
যার হাতে আমার জীবন তার কসম! কোনও মুমিন মানুষ যদি এই আয়াতটুকু কোনও পাহাড়ের উপরেও পড়ে, তবে সে পাহাড়ও হটে যাবে।।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর (রাঃ) বলেছেনঃ
এক রাতে আমি হেরেম শরীফে প্রবেশ করি। সেই সময় কয়েকজন মহিলাকে তাওয়াফ করতে দেখে অবাক হয়ে যাই। তাওয়াফ করার পর 'বাবুল হুজাবাইন' দিয়ে বের হয়ে যায় । আমি মনে মনে বললাম যে,আমি ওদের পিছনে পিছনে যাবো এবং ওদের বাড়ি কোথায় দেখবো।সুতরাং ওরা যেতে লাগলো আর আমিও ওদের অনুসরন করতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত ওরা এক পাহাড়ের উপত্যকায় পৌঁছল।
তারপর সেই পাহাড়ের উপর উঠলো। তারপর ওরা পাহাড় থেকে নেমে এক বিরান জায়গায় গিয়ে পৌঁছল।
আমিও পিছনে পিছনে গেলাম, সেখানে দেখলাম কয়েকজন মুরুব্বি গোছের মানুষ বসে আছে। তারা আমাকে বলল 'হে ইবনু যুবাইর!, আপনি এখানে কীভাবে এলেন?'
আমি বললাম 'আপনারা কারা ?'। তারা বলল 'আমরা জীন'।
আমি বললাম 'আমি এমন কয়েকজন মহিলাকে কাবাঘরের তাওয়াফ করতে দেখলাম,যাদেরকে অন্য প্রজাতির সৃষ্টি বলে মনে হল। তাই আমি ওদের পিছু নিলাম এবং ওদের পিছনে পিছনে এখানে এসে পৌঁছে গেলাম।'
তারা বলল 'ওরা ছিল আমাদেরই মহিলা'।
আচ্ছা, হে ইবনু যুবাইর! আপনি কি খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন? বললাম ;আমার মন চাইছে টাটকা খেজুর খেতে।' সেই সময় মক্কা শরীফের কোথাও কোন টাটকা খেজুরের চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না। তা সত্ত্বেও তারা আমার কাছে টাটকা খেজুর নিয়ে এলো। আমার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর তারা বলল, 'যেগুলো অবশিষ্ট থেকে গেছে ওগুলো আপনি নিয়ে যান।
হযরত ইবনু যুবাইর (রাঃ) বলেছেনঃ এরপর আমি সেখান থেকে উঠি এবং বাড়ির পথে পা বাড়াই। আমার উদ্দেশ্য ছিল খেজুরগুলো মক্কার লোকদের দেখানো।
বাড়ি ফিরে খেজুরগুলো একটা টুকরিতে রাখলাম। টুকরিটা একটা সিন্দুকে রেখে শুয়ে পড়ি। আল্লাহর কছম!! আমি তখন আধঘুম- আধাজাগা, এরকম তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ঘরের মধ্যে হুটপাটার আওয়াজ শুনলাম এবং শুনলাম এইসব কথাবার্তা-
- হ্যাঁ হ্যাঁ রেখেছে।
- সিন্দুকে।
- সিন্দুক খোল।
- সিন্দুক তো খুললাম কিন্তু খেজুর কই?
- টুকরির মধ্যে।
- টুকরি খোল।
- টুকরি খোলতে পারব না। কারন ইবনু যুবাইর 'বিসমিল্লাহ' বলে টুকরি বন্ধ করেছিলেন।
- তাহলে টুকরি সমেত সঙ্গে নিয়ে চলো।
সুতরাং তারা টুকরি নিয়ে চলে গেলো।
হযরত ইবনু যুবাইর (রাঃ) বলছেনঃ ওরা যখন আমার ঘরের মধ্যেই ছিল, তখন কেন যে ওদের ধরি নি, সে কথা ভাবলে আমার এখন প্রচণ্ড আফসোস হয়।
ইমাম আ'মাশ (রহঃ) বলেছেনঃ-
আমি এক জীনের বিয়েতে 'কুই' নামক এক স্থানে উপস্থিত ছিলাম। বিয়েটি ছিল জীনের সাথে এক মানুষের।
জীনদের জিজ্ঞাসা করা হল কোন খাদ্য তাদের বেশি পছন্দনীয়, ওরা বলল 'ভাত'
তো লোকেরা জীনদের কাছে তাদের খাঞ্জা আনতে থাকছিল আর ভাত শেষ হতে থাকছিল কিন্তু খানেওলাদের হাত দেখা যাচ্ছিল না।
বর্ণনায় হযরত আলিদ বিন মুসলিম (রহঃ) -
একবার একটি লোক একটি গাছে কিছু আওয়াজ শুনলেন এবং (কৌতূহলবশত আওয়াজকারী জীনের সাথে ) কথা বলতে চাইলেন।কিন্তু সে কোন সাড়া দিল না। লোকটি তখন আয়াতুল কুরছি পড়লেন।
ফলে তার কাছে একটা জিন নেমে এলো। লোকটি তাকে জিজ্ঞাসা করলো,"আমাদের মধ্যে একজন ( সম্ভবত জীনঘটিত কারনে )অসুস্থ হয়ে আছে, আমরা কিসের দ্বারা তার চিকিৎসা করবো?" জিনটি বলল, "যার দ্বারা আপনি আমাকে গাছ থেকে নামালেন"
বর্ণনায় হযরত ইবনে আকিল (রহঃ) - আমাদের একটি বাড়ি ছিল।তাতে যখনি কোন লোক থাকতো ,সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যেত। একবার মরক্কোর এক লোক এল।ঘরটি সে পছন্দ করে ভাড়ায় নিল।
তারপর রাত কাটালো । সকালে দেখা গেল,সে পুরোপুরি বহাল তবিয়তেই রয়েছে । তার কিছুই হয় নি । তা দেখে প্রতিবেশীরা অবাক হল । লোকটি বেশ কিছুকাল অই ঘরেই থাকল ।তারপর অন্য কোথাও চলে গেল ।
ওকে ওই ঘরে নিরাপদে থাকার কারন জিজ্ঞাসা করলে ও বলেছিল...আমি যখন ওই ঘরে (প্রথম দিন) রাতে থাকি,তখন এশার নামায পড়েছি ,কোরআন পাক থেকে কিছু পরেছি।এমন সময়...
হঠাৎ দেখি,এক যুবক কুয়ো থেকে উপরে উঠছে । সে আমাকে সালাম দিল । আমি তাকে দেখে ভয় পেলাম । সে বলল,ভয় পেয় না । আমাকেও কিছু কোরআনপাক শেখাও । অতএব আমি তাকে কোরআন শেখাতে শুরু করি।
পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি ,এই ঘরের রহস্যটা কি?সে বলে আমরা মুসলমান জীন,আমরা কোরআন পাঠও করি, নামায ও পড়ি । কিন্তু এই ঘরে বেশিরভাগ সময় বদমাশ লোকেরা থাকে, যারা মদপানের মজলিশ বসায়। তাই আমরা ওদের গলা টিপে দেই । আমি বললাম , রাতের বেলায় আমি তোমাকে ভয় পাই । তুমি দিনের বেলায় আসবে । সে বলল, খুব ভালো। তারপর থেকে সে দিনের বেলা কুয়ো থেকে বের হত ।
একবার সে কুরআনপাক পড়ছিল। এমন সময় বাহিরে এক ওঝা এলো, সে আওয়াজ দিয়ে বলল ,আমি সাপে কাটা ,বদ নজর লাগা ও জিনে ধরার ফুক দেই গো!! -এ কথা শুনে জিনটি বলল ও আবার কে? আমি বললাম ও হল ঝারফুককারী ,ওঝা।সে বলল, ওকে ডাকো। আমি উঠে গিয়ে তাকে ডেকে আনলাম।
এসে দেখলাম সেই জিনটি বিরাট বড় সাপ হয়ে ঘরের (ভিতরের) ছাদে উঠে রয়েছে। ওঝা এসে যারফুক করতে সাপটি ঝটপট করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত সাপটি মেঝেতে পরে গেলো। তখন তাকে ধরে ঝাপিতে ভরে নেবার জন্য ওঝা উঠল। কিন্তু আমি তাকে মানা করলাম। সে বলল,তুমি আমাকে আমার শিকার ধরতে মানা করছো। আমি তাকে একটি স্বর্ণমুদ্রা (আশরাফি) দিতে সে চলে গেলো।
তখন সেই অজগর নড়াচড়া করল এবং জিনের রুপ প্রকাশ পেল। কিন্তু সে তখন দুর্বলতার দরুন হলদে হয়ে গিয়েছিল। আমি তাকে বললাম তোমার কি হয়েছে? সে বলল ওই ওঝা আমাকে পাক ইসমের মাধ্যমে শেষ করে ফেলেছে। আমি বাচবো বলে আর বিশ্বাস হচ্ছে না। যদি তুমি এই কুয়ো থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাও,তবে এখান থেকে চলে যেও। সেই রাতেই আমি কুয়োর ভিতর থেকে এই আওয়াজ শুনলাম,"তুমি এবার চলে যাও"।
বর্ণনাকারী ইবনে আকিল (রহঃ) বলেন, তারপর থেকে ওই ঘরে লোক থাকা বন্ধ হয়ে গেলো।।

Paranormal Society BD-জ্বীন জাতির স্থায়ী বসতি কোথায়

ইবনে কাসিম বলেন,
একবার কাইম বিল হারিস (রা:) এর চাচার এক নিকট বন্ধুর বাণিজ্য সহকারীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার স্ত্রীর ভ্রাতুষ্পুত্র রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন,
ইয়া রাসূলুল্লাহ, জ্বীন জাতির স্থায়ী বসতি কোথায়?
উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, সন্ধ্যায় যে তারকাকে পশ্চিম আসমানে এবং ভোর রাত্রিতে পুনরায় পূর্ব আসমানের দিকে উদিত হইতে দেখা যায় সেই তারকাতেই জ্বীন জাতির স্থায়ী বসতি।
উল্লেখিত হাদিস শরিফ থেকে ইহাই প্রমাণিত হয় যে আধুনিক বিজ্ঞানীদের এলিয়েনের ধারণাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কোরআনের আলোকে ১৪০০ বছর আগেই জীন হিসাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন।

Paranormal Society BD-জ্বীনকে বশে আনার কৌশল

কোরআন হাদিস দ্বারা জীনের অস্তিত্ব এবং উপকার অপকারের কথা প্রমাণিত।
"তাদের অবস্থান বাথরুম,কবরস্থান,সমুদ্র হয়ে থাকে।"(আবু দাউদ ১ম খন্ড ৪/৬ নং পৃষ্ঠা,হায়াতুল হাইওয়ান)।
তাদের স্ত্রী লিঙ্গধারীদের কে পরী বলা হয়।পরীরা ছেলে মেয়েদেরকে তাদের স্হানে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
জীনদেরকে বশে আনা সম্ভব তবে পন্থাটা ভিন্ন রকম। আমাদের সমাজে জ্বীন বশে আনার কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে যেমন:
কেউ কেউ বলে সুরা জ্বীন গভীর রাতে 7 বার পাঠ করে ঘুমালে পর দিন জ্বীন তার সাথে দেখা দেয়।
এরকম আরও আছে যে, সুরা জ্বীন একবারে 300 বার পাঠ করলে জ্বীনের বাদশা ঐ ব্যক্তির গোলাম হয়ে যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন তাবিজের বইতে দেখা যায় বিভিন্ন আয়াত লেখা থাকে এবং সেই আয়াত মেস্ক জাফরানের কালি দ্বারা সাদা কাপড়ে লিখে সেই কাপড় আগুনে পোরালে নাকি জ্বীন এবং পরী বশে আসতে বাধ্য।
সত্যি বলতে কি, এভাবে কখনো জ্বীন বশে আসে না। এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে নিজে নিজে বশে আনার চেষ্টা করা মানে নিজের মৃত্যুকে নিজে ডেকে আনা।
এই জন্য একজন জীন সাধক বা তাবিজ প্রদানকারী আলেম থেকে অনুমতি আনতে হবে এবং তার বাতলে দেয়া পন্থায় সাধনা করতে হবে। যখন তারা বশে চলে আসে তখন সে ঐ ব্যক্তির ভিতর দিয়ে হাজির হতে পারে।
মনে রাখতে হবে,মানুষের রক্তের সাথে জীনরা মিশতে পারে।
বিধায় অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
সূরা জ্বীনের শানেনুজুল এবং এর তাফসীর পড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে, হযরত সুলাইমান আঃ এর বশে জ্বীন ছিলো।
মিশকাত শরীফে উল্লেখিত রাসূল (সাঃ) এর জামানার একটি বাচ্চার ঘটনা আছে, যার জ্বীন বশে ছিলো এবং রাসুল (সাঃ) ও মেনে নিয়েছিলেন।
সুতরাং, জীনকে বশে আনা যায়না ইহা স্রেফ মনগড়া কথা।

Paranormal Society BD-জ্বীনদের প্রকারভেদ এবং জীবন-যাপন

এই পৃথিবীতে তিন ধরনের জ্বীন রয়েছে। এদের মধ্যে ঘুল( দুষ্ট প্রকৃতির জ্বীন যারা মূলত কবরস্থানের সাথে সম্পর্কিত এবং এরা যেকোন আকৃতি ধারণ করতে পারে),
সিলা (যারা আকৃতি পরিবর্তন করতে পারতো)
এবং ইফরিত (এরা খারাপ আত্মা)। এছাড়া মারিদ নামক এক প্রকার জিন আছে যারা জিনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।
প্রাচীন আরবদের মতে জিন আগুনের তৈরি।
ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনের তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোনো ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ।
আর তাই জিন আগুনের শিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়।
এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো, রাসুল (সা:) একদা উল্লেখ করেছিলেন, শয়তান বলে একটি জিন একদা নামাজের সময় তাঁর সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ জিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জিনের থুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন। [সুরা সাদ ৩৮:৩৫]
এতে প্রতীয়মান হয় যে জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠান্ডা থুথু থাকার প্রশ্নেই উঠে না। জিন তিন প্রকারের আওতায় বিদ্যমান।
প্রথমতঃ জমিনের সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, ইত্যাদি;
দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেই প্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব। এরা সূক্ষ্ম, তাই স্থূল মানুষ বা পশু-পাখি জিনদের দেখতে পারে না। তবে কুকুর ও উট এদের হুবহু দেখতে পারে। রাতে কোন অপরিচিত বস্তু বা জীব চোখে না দেখা গেলেও কুকুর কি যেন দেখে ছুটাছুটি ও ঘেউ ঘেউ করলে তাতে জিনের আবির্ভাব হয়েছে বলে বুঝতে হবে। জিন বহুরূপী। এরা মানুষ, পশু-পাখি, ইত্যাদি যে কোন সুরত ধরতে পারে।

Paranormal Society BD-জ্বীনের বসবাস

পৃথিবির মধ্য সব চাইতে আকর্ষণীয় এবং বিস্ময়কর স্থান, সব জীনের বসবাস এখানে । নিজ চোখে দেখে নিন জীনের কেরামতিঃ
ওয়াদি জীন, মদিনা মোনাওয়ারার আল বায়দা উপত্যকা ,পৃথিবীর মধ্য সব চাইতে আকর্ষণীয় এবং বিস্ময়কর স্থান । যদিও সৌদি আরবের কঠোর নীতি কারণে এই দর্শনীয় স্থানটি আন্তজাতিক নজরে তেমন ভাবে আসেনি , তবে এইবার যারা হজ্জে যাচ্ছেন তাদের বলে দিচ্ছি, একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসতে পারেন ওয়াদি জীন নাম স্থানটি থেকে , জন প্রতি মাত্র ২০ রিয়াল গাড়ি ভাড়া। তবে কোন সৌদি ট্যাক্সিতে না যাওয়াই ভালো , আর তাছাড়া সৌদিরা যেতেও ভয় পায়। পাকিস্তানি হিন্দি বাঙ্গালী অনেক ট্যাক্সি ড্রাইবার পাবেন, তাদের বললেই হলো ।
ওয়াদি জীন অবস্থান মদিনার আল বায়দা উপত্যকায়।
উপত্যকাটি মসজিদে নববীর উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। এলাকাটি কালো কালো বড় বড় ভয়ংকর পাহারে ঘেরা , এমনেতেই দেখতে ভয় লাগে পাহাড় গুলো ।
আসল কথায় আসি ২০০৯-২০১০ সালের দিকে সৌদি সরকার এই ওয়াদি জীন নাম স্থান দিয়ে একটি রোড বানানোর পরিকল্পনা করে এবং হাজার হাজার শ্রমিক কাজে লাগায় এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য , কিন্তু সমস্যা হলো কাজ করার যন্ত্রপাতি আস্তে আস্তে মদিনা শহরের দিকে অটোম্যাটিক যাওয়া শুরু করে দেয়। পিচ ঢালাই করার জন্য বড় বড় রোলার গাড়ি গুলা বন্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে উপর দিকে উঠতে থাকে এবং মদিনা শহর মুখি হয়ে রওনা দেয় , এমন কি পেপসির বোতল পানির বোতল বা পানি রাস্তায় ফালালেও সেইটা নিচের দিকে না গিয়ে মদিনার দিকে যাওয়া শুরু করে। আর এই দেখে শ্রমিকরা ভয় পেয়ে যায় এবং মাত্র ৩০-৪০ কিঃমিঃ রাস্তাটি করার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায় । রোডটি যেখানে কাজ বন্ধ করা হয় সেখানে চারি দিকে বিশাল বিশাল কালো কালো পাহার তাই শেষ মাথায় গোল চক্করের মতন করে আবার সেই রাস্তা দিয়েই মদিনা শহরে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাস্তাটি ২০০ কিঃমিঃ হওয়ার কথা ছিল,কিন্তু শ্রমিকরা প্রচণ্ড ভয় পায় এবং এই রাস্তায় গাড়ি এক্সিডেন্ট হতে পারে এই ভেবেই এখানেই শেষ করা হয় কাজ ।
দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমায় , এই রাস্তায় গাড়ি বন্ধ করে নিউটালে রাখলে ১২০ কিঃমি ও বেশি স্পীডে গাড়ি চলে।
সবাই মনে করে ওয়াদি জীন নামক স্থানে গাড়ি নিয়ে গেলে জীনেরা গাড়ি ঠেলে মদিনার দিকে পাঠিয়ে দেয় , তবে জীনেরা মানুষ মেরেছে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি , কারণ লোক মুখে শুনেছি নবী করীম (সা.) এর সাথে নাকি এই এলাকার জীনদের সাথে এমনই চুক্তি হয়ে ছিল যে তারা মানুষের কোন ক্ষতি করবেনা এবং মানুষ ও তাদের এই এলাকায় আসবেনা , তাই হয় তো জীনেরা কোন ক্ষতি না করে গাড়ি ঠেলে মদিনার দিকে পাঠিয়ে দেয় , এমন আরো অনেক গুঞ্জন আছে এই নিয়ে , আসলে এই সম্পর্কে কোণ হাদিস আছে কিনা জানা নাই আমার ।
তখন দেখে ছিলাম সৌদি সরকার বেশ কিছু দিন এই রাস্তা বন্ধ করে রেখে ছিল কিন্তু তার পর আবার চালু করে দেয় , এই রাস্তাটি সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় , বিকাল ৪ টার পর আর কোনো গাড়ি বা মানুষ ওয়াদি জীনের এলাকায় যেতে দেওয়া হয় না ।
অনেকেই বলতে পারেন হয় তো অনেক মেগনেট আছে তাই এমনটি হতে পারে , কিন্ত মেগনেট এর সাথে পানির সম্পর্ক কি? পানির বোতল বা পানি ফেললেও তায় নিচের দিকে না গিয়ে উপরের দিকে উঠে।

Paranormal Society BD- জ্বীনের পরিচিতি

জ্বীন জাতি সম্পর্কে অনেকেরই আগ্রহ। জ্বীনরা কেমন কি খায়, তাদের জীবন যাত্রা কিরকম। বিশেষ করে আল-কোরানে সূরা জ্বীন নাযিল হবার পর সাহাবীদেরও জ্বীনদের প্রতি কৌতূহল দেখা গিয়েছিল। আমি এখানে মুসলিম বিশ্বের প্রবাদ পুরুষ তাফসীরে জালালাইনের সম্মানিত লেখক 'আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি (রহঃ)' জ্বীন জাতিকে নিয়ে উনার লেখা "লাক্বতুল মারজ্বানি ফী আহকামিল জ্বান্ন্" নামক আরবী গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ “জ্বীন জ্বাতির বিস্ময়কর ইতিহাস” বইটি থেকে ও আরো কিছু সহীহ হাদীস থেকে জ্বীন জাতি সম্পর্কে কিছু লেখার চেষ্টা করব। এই বইটি মদীনা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান। 
.
এখানে বলে রাখা ভাল অনেক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যেমন অবলোহিত, মাইক্রো ওয়েভ, X-Ray, গামা রশ্মি আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। জ্বীন ফেরেশতা হয়ত এমন কোন সূক্ষাতি সুক্ষ তরঙ্গ যাদেরকে কোন যন্ত্রপাতি দ্বারাও দেখা যাবে না। জ্বীন শব্দের মোটামুটি অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুকায়িত। শয়তানরাও হল একপ্রকার জ্বীন, যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা অভিশপ্ত ইবলিশের বংশধরদের অন্তর্গত। হাদীস তত্ববীদদের মতে জ্বীনদের কয়েক টি শ্রেণী আছে। যেমন সাধারন জ্বীন, আমির জ্বীন এরা মানুষের সাথে থাকে, শয়তান এরা অবাধ্য, উদ্ধত, ইফরীত্ব জ্বীন এরা শয়তানের চাইতেও বিপদজনক। জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে হযরত আদম আঃ এর ২০০০ বছর পূর্বে। জ্বীন জাতির আদি পিতা (আবূল জিন্নাত) সামূমকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আগুণের শিখা দ্বারা তৈরী করার পর আল্লাহ সামূমকে বলেন তুমি কিছু কামনা কর। তখন সে বলে আমার কামনা হল আমরা সবাই কে দেখব কিন্তু আমাদের কে কেউ দেখতে পারবে না। আর আমাদের বৃদ্ধরাও যেন যুবক হয় মৃত্যুর পূর্বে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তায়ালা জ্বীন দের এই দুইটি ইচ্ছাই পূরণ করেন। জ্বিনরা বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর পূর্বে আবার যুবক হয়। 
অনেকের মাঝে একটা প্রশ্ন আসে যে জ্বীনরা যদি আগুনের তৈরী হয় তাইলে কিভাবে জ্বীন রা জাহান্নামের আগুনে পুড়বে? 

জ্বীনের আদিপিতা আগুণের তৈরী হলেও এরা মূলত আগুণ নয়। যেমন মানব সৃষ্টির মূল উপাদান কাদামাটি হলেও মানুষ কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কাদামাটি নয়। ঠিক তেমনি জ্বিনের পূর্ব পুরুষ আগুণের তৈরী হলেও জ্বীন মানেই আগুন নয়। এর প্রমাণ মুসনাদ আহমদে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদীস- “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন শয়তান নামাযের মধ্যে আমার সাথে মুকাবেলা করতে আসে তখন আমি তার গলা টিপে দেই। তখন আমি শয়তানের থুথুর শীতলতা নিজের হাতেও অনুভব করছি। ” সুতরাং শয়তান বা জ্বীন যদি দাহ্য আগুণ হয় তাইলে তার থুথু ঠান্ডা হতে পারে না। তাই জাহান্নামের আগুন দ্বারা জ্বীনদের ঠিকই কষ্ট হবে। আশাকরি আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। 

জ্বীনদের শরীর মূলত খুব সূক্ষাতি সূক্ষ। জ্বীনরা চাইলে যেকোন কঠিন পদার্থের বাধা অতিক্রম করতে পারে। জ্বীন দের কে আল্লাহপাক বিশেষ কিছু কথা ও কাজ শিখিয়ে দিয়েছেন যার দ্বারা জ্বীনরা চাইলে এক আকার থেকে আরেক আকারে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে জ্বীন দের কাছে সবচেয়ে প্রিয় আকার হল সাপের আকার। জ্বীনরা বেশিরভাগ সময় সাপের আকারে চলাফেরা করতে পছন্দ করে। জ্বীনদের খাবার হল শুকনা হাড় ও গোবর। সহীহ হাদীসে শুকনা হাড় ও গোবর দ্বারা এসেঞ্জা করতে নিষেধ করা আছে। হাদিসে বলা হয়েছে এ দুটা হল জ্বীনদের খাবার। জ্বীন দের সাথে মানুষের বিয়ে হওয়া সম্ভব। সহীহ হাদিসে বলা আছে যে রাণী বিলকিসের পিতা মাতার মধ্যে একজন ছিল জ্বীন। তবে জ্বীনদের সাথে মানুষের বিয়ে হালাল না হারাম এ নিয়ে আলেমদের মাঝে মতবিরোধ আছে। তবে বেশিরভাগ আলেমদের মতে জ্বীন বিয়ে করা মাকরুহ। অনেক অন্ধ বুযুর্গ জ্বীন মেয়েকে বিয়ে করেছেন যেন সফরে ঐ বুযুর্গের হাটা চলায় সুবিধা হয়। তবে জ্বীনরা যদি চায় তাইলেই মানুষ জ্বিনদেরকে দেখতে পারে। জ্বীন দের সাথে মানুষের উটাবসা, বিয়ে শাদি এটা পুরাটাই জ্বীনদের ইচ্ছা। মানুষের মাঝে যেমন বিভিন্ন ফেরকা, মাযহাব আছে ঠিক তেমনি জ্বীন দের মাঝেও বিভিন্ন দল মত আছে। 
অনেক জ্বীন সাহাবী ছিলেন। সীরাতে ইবনে হিশামে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পরে প্রথমে ফেরেশতারা এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম দেয় এরপরে জ্বীনেরা এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম দেয়।

Paranormal Society BD- ফয়েজ লেক রহস্য- পর্ব ১

ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত মানব নির্মিত একটি লেক।

 ১৯২৪ সালে এই লেকটি খনন করা হয়।  লেকটি খনন কাজের সাথে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রকৌশলী ফয়েজ। প্রকৌশলী ফয়ে’সের নামানুসারে লেকটির নামকরণ করা হয় ফয়েজ লেক। 
এই লেকটি তৈরীর উদ্দেশ্য ছিল রেল কোলনীতে বসবাসকারী লোকদের কাছে পানি পৌঁছানো।

ফয়েজ লেক দিনের
বেলা আনন্দ আর উৎসবের এলাকা হলেও
রাতের বেলা ১টি ভৌতিক
জায়গাতে পরিণত হয়।

লেকের
১টা সাইড আছে যেখানে বোট
নিয়ে যাওয়া নিষেধ।

সেখানে ১টা ওয়ার্নিং বোর্ডও
লাগানো আছে।। শোনা যায় যে, ঐ
সাইডটাতে একটা পাথরের দ্বীপ
আছে এবং একবার কেউ
ওইপাশে চলে গেলে সে আর সহজে পথ
খুঁজে পায় না।
 অনেকেই দূর
থেকে ঐ দ্বীপটাতে একটা মেয়েকে ঘুরে বেড়াতে
বিভিন্ন জনের বর্ণনা থেকে জানা যায়,
মেয়েটা একটা সাদা জামা পড়ে থাকে,
তার চুল ছাড়া থাকে, এবং লক্ষ্য
করলে বুঝা যায় কোনও কারণে তার মন
বিষণ্ণ।
 অনেকে মনে করে থাকেন
 এইখানে দুটি মেয়ের আত্মা একসাথে থাকে।
 যেখানে একজন মানুষ কে যেখানে একজন মানুষ কে হয় এবং পথ ভুলিয়ে দিয়ে
 অন্য জন মানুষকে রক্ষায় এবং তাকে পথ চিনে যেতে সাহায্য করে।
 যদিও সেটা নিছোক লোককথা।

 যদিও এখানে অনেক মানুষ পথ হারিয়েছে এবং অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।

 কিন্তু সেটার কারণ এইটাও না হতে পারে।
 আবার হতেও পারে আবার হতেও পারে।
 আশা করি শিগগিরই আমরা এর আসল ঘটনাটি জানতে পারবো।
 ফয়েজ লেকের রহস্য আমরা শিগগিরই উন্মোচন করব আশা করি সাথে থাকবেন।
 ধন্যবাদ।

Paranormal Society BD-ব্লাডি মেরি সম্পর্কে কিছু ধারনা ও তার ইতিহাস

ব্লাডি মেরি নামটা অনেকের পরিচিতো হতে পারে আবার হতে পারে পুরো অপরিচিত  একটি নাম ।

 অনেকে মনে করে রাতে 2:33 থেকে 3:33 এ যদি আয়নার সামনে গিয়ে মেরি ব্লাডি মেরি বলা হয় তিনবার তাহলে ব্লাডি মেরি তাদের সামনে এসে যায়।


 ব্লাডি মেরি একজন নারী এবং তার চেহারা অনেক কুৎসিত বলা হয়।

 তিনি প্রথমে চেয়ে থাকলেও নাকি পরে অনেক জোরে জোরে চিৎকার করে থাকেন

 ব্লাডি মেরি ব্লাডি মেরি ব্লাডি মেরি তিনবার ডাকার পরে যদি কেউ বলেন সে তার বাচ্চাকে চুরি করেছেন তাহলে নাকি সে তাকে হত্যা করে।

 যদি এমন কোনো হত্যার কোনো খবরই এখন পর্যন্ত স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি।

 অনেকে আবার দাবি করে থাকে সেই ব্লাডিমেরি আয়না থেকে বের হয়ে তাদের অনেক ক্ষতির সম্পন্ন করতে চায়।

 আবার অনেকে বলে থাকেন তাদের স্বপ্নেও নাকি সে তারপর থেকে ব্লাডিমেরি দেখতে পায়।

 এটার কোন সঠিক প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও এটাকে অনেকে বিশেষ করে থাকেন।

 মনো বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি নিছক মনোরোগ।

 আবার অনেকে মনে করে থাকেন রানী মেরি এই ব্লাডি মেরি।
 প্রথম নারী মেরির ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় তিনি ছিলেন অনেক নিষ্ঠুর ও নির্মম।

 অনেকের মতে তিনি তাজা মহিলাদের রক্ত দিয়ে তিনি গোসল ও বিভিন্ন ধরনের ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চা করতেন।

 যদিও সেটার স্পষ্ট কোনো প্রমাণই এখন পর্যন্ত সামনে আসেনি।

 কিন্তু তিনি যে ছিলে নিষ্ঠুর নির্মম সে কথায় সবাই একমত হয়ে থাকেন।

 ইনল্যান্ডে  যখন দুটি ধর্মে বিভক্ত হয়ে যায় তখন ব্লাডি মেরি অনেক নিরীহ লোকদের হত্যা করেন ।

 অনেকে মনে করেন রাণী মেরি হলো ব্লাডি মেরি।

 কিন্তু তার স্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।

 আমরা যদি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখি তাহলে ব্লাডি মেরি পুরো একটি মস্তিষ্কের একটি খেলা আর কিছুই না।

 আবার এটাও হতে পারে যে এটি সত্যি আবার এটাও হতে পারে যে এটি সত্যি,
 কারণ আয়নার ভিতর অনেক প্যারানরমাল জিনিসের বাস থাকতে পারে সেটা আমরা কেউ ভালোভাবে জানি না।
 আমাদের বিজ্ঞান উন্নত হলেও এত উন্নত হয়নি যে আমরা এসব বিষয়কে পুরো স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি।

 তো এটিকে আমরা মিথ্যে বা সত্য না বলে  এটির মতামত আপনাদের কাছে রাখছি।