Paranormal Society BD-জ্বীনদের প্রকারভেদ এবং জীবন-যাপন

এই পৃথিবীতে তিন ধরনের জ্বীন রয়েছে। এদের মধ্যে ঘুল( দুষ্ট প্রকৃতির জ্বীন যারা মূলত কবরস্থানের সাথে সম্পর্কিত এবং এরা যেকোন আকৃতি ধারণ করতে পারে),
সিলা (যারা আকৃতি পরিবর্তন করতে পারতো)
এবং ইফরিত (এরা খারাপ আত্মা)। এছাড়া মারিদ নামক এক প্রকার জিন আছে যারা জিনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।
প্রাচীন আরবদের মতে জিন আগুনের তৈরি।
ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনের তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোনো ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ।
আর তাই জিন আগুনের শিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়।
এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো, রাসুল (সা:) একদা উল্লেখ করেছিলেন, শয়তান বলে একটি জিন একদা নামাজের সময় তাঁর সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ জিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জিনের থুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন। [সুরা সাদ ৩৮:৩৫]
এতে প্রতীয়মান হয় যে জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠান্ডা থুথু থাকার প্রশ্নেই উঠে না। জিন তিন প্রকারের আওতায় বিদ্যমান।
প্রথমতঃ জমিনের সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, ইত্যাদি;
দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেই প্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব। এরা সূক্ষ্ম, তাই স্থূল মানুষ বা পশু-পাখি জিনদের দেখতে পারে না। তবে কুকুর ও উট এদের হুবহু দেখতে পারে। রাতে কোন অপরিচিত বস্তু বা জীব চোখে না দেখা গেলেও কুকুর কি যেন দেখে ছুটাছুটি ও ঘেউ ঘেউ করলে তাতে জিনের আবির্ভাব হয়েছে বলে বুঝতে হবে। জিন বহুরূপী। এরা মানুষ, পশু-পাখি, ইত্যাদি যে কোন সুরত ধরতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন