Paranormal Society BD-জ্বীনকে বশে আনার কৌশল

কোরআন হাদিস দ্বারা জীনের অস্তিত্ব এবং উপকার অপকারের কথা প্রমাণিত।
"তাদের অবস্থান বাথরুম,কবরস্থান,সমুদ্র হয়ে থাকে।"(আবু দাউদ ১ম খন্ড ৪/৬ নং পৃষ্ঠা,হায়াতুল হাইওয়ান)।
তাদের স্ত্রী লিঙ্গধারীদের কে পরী বলা হয়।পরীরা ছেলে মেয়েদেরকে তাদের স্হানে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
জীনদেরকে বশে আনা সম্ভব তবে পন্থাটা ভিন্ন রকম। আমাদের সমাজে জ্বীন বশে আনার কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে যেমন:
কেউ কেউ বলে সুরা জ্বীন গভীর রাতে 7 বার পাঠ করে ঘুমালে পর দিন জ্বীন তার সাথে দেখা দেয়।
এরকম আরও আছে যে, সুরা জ্বীন একবারে 300 বার পাঠ করলে জ্বীনের বাদশা ঐ ব্যক্তির গোলাম হয়ে যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন তাবিজের বইতে দেখা যায় বিভিন্ন আয়াত লেখা থাকে এবং সেই আয়াত মেস্ক জাফরানের কালি দ্বারা সাদা কাপড়ে লিখে সেই কাপড় আগুনে পোরালে নাকি জ্বীন এবং পরী বশে আসতে বাধ্য।
সত্যি বলতে কি, এভাবে কখনো জ্বীন বশে আসে না। এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে নিজে নিজে বশে আনার চেষ্টা করা মানে নিজের মৃত্যুকে নিজে ডেকে আনা।
এই জন্য একজন জীন সাধক বা তাবিজ প্রদানকারী আলেম থেকে অনুমতি আনতে হবে এবং তার বাতলে দেয়া পন্থায় সাধনা করতে হবে। যখন তারা বশে চলে আসে তখন সে ঐ ব্যক্তির ভিতর দিয়ে হাজির হতে পারে।
মনে রাখতে হবে,মানুষের রক্তের সাথে জীনরা মিশতে পারে।
বিধায় অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
সূরা জ্বীনের শানেনুজুল এবং এর তাফসীর পড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে, হযরত সুলাইমান আঃ এর বশে জ্বীন ছিলো।
মিশকাত শরীফে উল্লেখিত রাসূল (সাঃ) এর জামানার একটি বাচ্চার ঘটনা আছে, যার জ্বীন বশে ছিলো এবং রাসুল (সাঃ) ও মেনে নিয়েছিলেন।
সুতরাং, জীনকে বশে আনা যায়না ইহা স্রেফ মনগড়া কথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন